মাওলানা আবু সায়েম ।।
সম্প্রতি কিছু সমাজসেবক তরুণ আলেমের ‘হিজড়াদের মাঝে দীনী মেহনতের’ এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ সামাজিক মাধ্যমে অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। গত ২৭, ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ কিছু তরুণ আলেম হিজড়া ভাই-বোনদের মাঝে দীনী দাওয়াত ও প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে।
তাদের উদ্যোগকে প্রশংসা করে যারা খবর প্রকাশ করেছেন, তাদের মধ্যে ইসলাম টাইমস অন্যতম। তখন পাঠকদের কারো কারো প্রশ্ন এসেছিল, হিজড়াদের মাঝে দাওয়াতী কাজ চালাতে পর্দার বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হবে কিনা। পাঠকদের এমন প্রশ্ন পত্রিকাটি মারকাযুদ দাওয়াহর ইফতা বিভাগের একজন আলেম মাওলানা আবু সায়েমের কাছে পাঠিয়েছিল।
এমন প্রশ্নের জবাবে মাওলানা আবু সায়েম জানিয়েছেন, হিজড়াদের শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ধর্মীয় বিধি-বিধান পালন করা অন্যদের মতাে তাদের জন্যও জরুরী। তবে অন্যদের মতাে তাদের ক্ষেত্রেও পর্দার বিধান লঙ্ঘন করার সুযােগ নেই।
মাওলানা আবু সায়েম বলেন, হিজড়াদের মধ্যে যাদের বাহ্যিক আকার-আকৃতি এবং শারীরিক গঠন নারীদের মতাে হবে, তাদের ক্ষেত্রে নারীদের বিধি-বিধান প্রযােজ্য হবে। পুরুষদেরকে তাদের সাথে পর্দা করতে হবে। এবং তারাও অন্যান্য নারীদের মতাে পর্দাবৃত হয়ে চলাচল করবেন।
“আর যারা আকার-আকৃতি ও শারীরিক গঠন প্রকৃতির দিক থেকে পুরুষের সাথে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাহ্যিক অবয়বও পুরুষের মতােই, তাদের সাথে পুরুষদের পর্দার প্রয়ােজন নেই। শুধুমাত্র এ ধরণের হিজড়াদের শিক্ষা কার্যক্রমই পর্দা ছাড়া সরাসরি পরিচালনা করা যাবে।” যোগ করেন মাওলানা আবু সায়েম।
প্রসঙ্গত, হিজড়াদের পুনর্বাসনের জন্য তার কর্মসংস্থান করে দেওয়াই যথেষ্ট নয়। পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন তখনই হবে, যখন তাকে তার পরিবার ও সমাজের সাথে যুক্ত করে জীবন যাপনের স্বাভাবিক ধারায় নিয়ে আসা যাবে। এর জন্য চাই সুচিন্তিত ও দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা। এর সাথে দরকার দাওয়াতী মেহনত। একজন দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে সেও শরীয়তের আওতাধীন। শরীআত তাকে সমাজের গলগ্রহ নয়, বরং সামাজিক ভারবহনের মহিমা দান করেছে।
সৌজন্যে : islamtime24.com
24,004 total views, 2 views today
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।
মন্তব্য (০ টি)