২৭ ডিসেম্বর, ২০২০

বৈদিক হিন্দুধর্মে মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়

স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ।। প্রশ্ন: মূর্তিপূজা কোত্থেকে এলো? উত্তর: মূর্তিপূজা বৈদিক হিন্দুধর্মবহির্ভূত চর্চা। স্বার্থান্বেষী মহল এটি জৈনদের কাছ থেকে এনে সংযোজন করেছে। প্রশ্ন: জৈনরা মূর্তিপূজার ধারণা কিভাবে পেয়েছে? উত্তর: নিজেদের মূর্খতা থেকে। প্রশ্ন: জৈনরা বলে- শান্ত, ধ্যানমগ্ন, উপবিষ্ট মূর্তি দর্শন করা হলে নিজের আত্মার শুভ পরিণাম সেরূপই হয়ে থাকে। উত্তর: জীব সচেতন, কিন্তু মূর্তি অচেতন। তবে কি জীবও মূর্তির মতো জড় হয়ে যাবে? মূর্তিপূজা তো একটি পাষণ্ড মত; জৈনরা এটা

১২ ডিসেম্বর, ২০২০

মূর্তি ও চিত্রপূজার বিরুদ্ধে সনাতন হিন্দুধর্ম

মুহসিনুদ্দীন মাহমূদ ।। নিজেকে কোনো বাস্তব বা কল্পিত ঊর্ধতন সত্ত্বার মুখাপেক্ষী জেনে পূজা-উপাসনা করার উদ্দেশ্যে তাঁর অবয়ব, ভাস্কর্য বা মূর্তি তৈরি করা কোনো কোনো ধর্মের বৈশিষ্ট্য। বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত প্রধান প্রধান ধর্মগুলোর মধ্যে হিন্দুধর্ম অন্যতম। যদিও বাস্তব অনুসন্ধানে নিয়োজিত হলে

২৭ অক্টোবর, ২০২০

জগতের সবচে বড় সত্য – এর একজন মালিক আছেন!

মাওলানা মুহাম্মাদ কালীম সিদ্দিকী ।। পৃথিবীতে আসার পর একজন মানুষের জন্য যে সত্যকে জানা ও মানা জরুরি এবং যা তার সবচে বড় দায়িত্ব, ভালোবাসাপূর্ণ সে কথাই আমি আপনাকে শোনাতে চাই। জগতের সবচে বড় সত্য জগতের সবচে বড় সত্য হলো -

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

চার যুগে হিন্দুধর্মের চার বিধান

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ।। ধর্মশাস্ত্র কাহাকে বলে, যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতায় তাহার নিরূপণ আছে। যথা, মন্বত্রিবিষ্ণুহারীতযাজ্ঞবল্ক্যোশনোহঙ্গিরাঃ ।যমাপস্তম্বসংবর্ত্তাঃ কাত্যায়নবৃহস্পতী ।। ১ । ৪ ।।পরাশরব্যাসশঙ্খলিখিতা দক্ষগোতমৌ ।শাতাতপো বশিষ্ঠশ্চ ধর্ম্মশাস্ত্রপ্রযোজকাঃ ।। ১ । ৫ ।। মনু, অত্রি, বিষ্ণু, হারীত, যাজ্ঞবল্ক্য, উশনাঃ, অঙ্গিরাঃ, যম, আপস্তম্ব, সংবর্ত্ত, কাত্যায়ন, বৃহস্পতি,

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

হিন্দুসমাজে বিধবাবিবাহ : তিক্ত সূচনা

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ।। কলিকাতার অন্ত:পাতী পটলডাঙ্গানিবাসী শ্রীযুত (শ্রীযুক্ত) বাবু শ্যামাচরণ দাস নিজ তনয়ার বৈধব্য দর্শনে দুঃখিত হইয়া মনে মনে সঙ্কল্প করেন, যদি ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা ব্যবস্থা দেন, পুনরায় কন্যার বিবাহ দিব। তদনুসারে তিনি সচেষ্ট হইয়া বিধবাবিবাহের শাস্ত্রীয়তাপ্রতিপাদক এক ব্যবস্থাপত্র সংগ্রহ করেন।

২৪ আগস্ট, ২০২০

বাংলায় ইসলাম প্রচারের সাফল্য ও তার কারণ

ড. আকবর আলী খান ।। সনাতন হিন্দুধর্ম চার বর্ণভিত্তিক আদর্শের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই চার বর্ণের মধ্যে সবার ঊর্ধ্বে ছিল ব্রাহ্মণরা, তারপর ছিল ক্ষত্রিয়রা। ক্ষত্রিয়দের নিচের অবস্থানে ছিল বৈশ্যরা। অনেকের মতে সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল শূদ্ররা। উচ্চবর্ণের হিন্দুরা সব

২৩ আগস্ট, ২০২০

হিন্দু জনসমাজে বর্ণাশ্রম ব্যবস্থা

এবনে গোলাম সামাদ ।। হিন্দু জনসমাজ বর্ণাশ্রম ব্যবস্থার ওপর প্রতিষ্ঠিত। ‘বর্ণ’ কথাটার অর্থ হলো ‘রং’। হিন্দুধর্মে বলা হয়, মানুষ হলো চার রঙের। এরা হলো, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। ব্রাহ্মণদের গায়ের রং হলো ফর্সা, ক্ষত্রিয়দের গায়ের রং হলো রক্তাভ, বৈশ্যদের

২২ আগস্ট, ২০২০

জাতের বজ্জাতি

কাজী নজরুল ইসলাম ।। জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেলছ জুয়া!ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া। হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি – ভাব্‌লি এতেই জাতির জান,তাইত বেকুব, করলি তোরা এক জাতিকে একশ’-খান।এখন দেখিস ভারত-জোড়াপ’চে আছিস বাসি মড়া,মানুষ

২২ আগস্ট, ২০২০

হিন্দুসমাজের নিষ্ঠুর শ্রেণীভেদ ও বর্ণপ্রথা

সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী ।। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ও জনপদে শ্রেণীভেদ ও বর্ণপ্রথা অবশ্যই ছিলো, কিন্তু ভারতবর্ষের মত আর কোথাও এমন কঠোর, নিষ্ঠুর বর্ণপ্রথা ও শ্রেণীভেদ ছিলো না। বস্তুত এটা ছিলো মানবতার প্রতি চরম অবমাননা, যা ভারতবর্ষে শুধু সামাজিকভাবেই

১৯ আগস্ট, ২০২০

জ্বল্‌ জ্বল্‌ চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।। [ মানব-সৃষ্টির সূচনায় পৃথিবী ছিল শত-শতাংশ মানবিক পৃথিবী। মানুষের আদি পিতা-মাতা আদম-হাওয়া (আলাইহিমুস সালাম) যেমন নিজেরা পারস্পরিক সুন্দর শান্তিময় জীবন যাপন করেছেন, তেমনি আল্লাহ্‌র হুকুমে সন্তানদেরকেও শান্তিময় জীবনের শিক্ষা প্রদান করেছেন। কিন্তু তাঁদেরই এক সন্তান কাবিল কুফরি

১৪ আগস্ট, ২০২০

হিন্দুধর্ম ও ইসলাম : জানা-অজানা কথা

রচনা : মুরতাহিন বিল্লাহ জাসির ফাযলীপ্রকাশনা : রাহনুমা প্রকাশনী, প্রচ্ছদ : আরিফুর রহমানপৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৭১, মুদ্রিত মূল্য : ৩০০ টাকা প্রবীণ আলেম, লেখক ও গবেষক শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক মাওলানা মুরতাহিন বিল্লাহ জাসির ফাযলী মহোদয়ের লিখিত বইটি হিন্দুধর্ম এবং ইসলামকে পাশাপাশি জানার উপযোগী একটি আকর-গ্রন্থ।